Go Back to All Articles সফল সফটওয়্যার কোম্পানির কর্ম পরিবেশ

আজ মে দিবস, সারা পৃথিবীতে এই দিবসটি শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

তবে একটি দিবস পালন করাই কি আসল উদ্দেশ্য? অবশ্যই নয়। আমরা ভুলে যাই যে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ দিবসের শিক্ষা নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। কিন্তু আমরা কতজন তা করি?

যেহেতু আমি সফটওয়্যার শিল্পের সাথে জড়িত এবং বেশ অনেকদিন থেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে, বিভিন্ন পদে কাজ করে এসেছি, তাই নিজের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে একটি সফটওয়্যার কোম্পানির কর্ম পরিবেশ কিরকম হওয়া উচিৎ তা নিয়ে কিছু লিখতে চাই।

তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, আমাদের বুঝতে হবে, আমরা যা করি তা আমাদের কিভাবে কাজে লাগে। কিভাবে আমরা সফটওয়্যার শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, কিভাবে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি সফল হতে পারে সেটা আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য করবো।

আমি সাধারণত যেটা আসল চিত্র সবসময় সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করি, কিন্তু নিঃসন্দেহে সবার ক্ষেত্রে সেটা সত্য হবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে নিতে চাই আমি যে ফ্রেম ধরে লেখাটি লিখছি তা আমাদের দেখা অনেক কোম্পানির পরিস্থিতির সাথে মিলতে পারে তবে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

একটি ঘটনা,

রফিক সাহেব তার রুমে বসে চা খাচ্ছেন আর ভাবছেন কি করবেন। গতকাল বিনা নোটিসে তার অফিসের সব প্রোগ্রামার চাকরী ছেড়ে চলে গেছে। তিনি যতদূর জানেন তারা সবাই অন্য একটি নতুন কোম্পানিতে বেশি বেতনে চলে গেছে। এখন তিনি কি করবেন, কিভাবে প্রোজেক্ট সামাল দিবেন, কিভাবে ক্লায়েন্টকে বুঝাবেন, কিভাবে তাড়াতাড়ি প্রোগ্রামার খুঁজে বের করবেন, এসব ভাবছেন তিনি। আরও ভাবছেন, মানুষ কত আনপ্রফেশনাল হয়, কত অকৃতজ্ঞ হয়। একটা নোটিশ তো দিতে হয় চাকরী ছারার আগে, আর ঐ কোম্পানিই বা কত খারাপ যারা অন্য একটি কোম্পানির সব কর্মীকে একবারে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। মাত্র ৫০০০ টাকা বেশি বেতন পেলেই যদি মানুষ এভাবে দায়িত্ব ফেলে চলে যায় তাহলে কিভাবে তিনি বিজনেস করবেন তাই ভাবছেন আর রাগে গজগজ করছেন।

অন্যদিকে রফিক সাহেবের একজন পালিয়ে আসা কর্মী আশিক, নতুন অফিসে বসে দাঁত কেলিয়ে হাসছেন আর সহকর্মীদের সাথে আগের অফিসের গল্প করছেন। মনে আজ তার বরই আনন্দ। একেতো বেশি বেতনে, সুন্দর অফিসে নতুন চাকরী, তার উপর আগের অফিসের উপর প্রতিশোধ নেয়ার অনন্দ। এতদিনের জমে থাকা ক্ষোভের এক সফল পরিসমাপ্তি।

আশিক বসে বসে সৃতিচারণ করছেন আগের সেই দিনগুলোর কথা। জীবন বলতে যেন কিছু ছিল না তার। সকাল ১০ টায় অফিসে যেতে হত, রাতে বাসায় ফিরতেন রাত ১১ টায় বা তারও পরে। মাঝে মধ্যে তো অফিসেই থাকতে হয়েছে। এমনকি রোজার দিনেও এইভাবে কাজ করতে হয়েছে তার।

এরপরও বসের কাছে কোনদিন সহানুভূতি পাননি, বেশিরভাগ সময় গালমন্দ, কটূক্তি শোনাই যেন নিয়তি ছিল তার। প্রায়ই ছুটির দিনে অফিসে ডেকে পাঠাতেন। সরকারি অনেক ছুটি তো পেতেনই না, এমনকি অনেকবার ঈদের ছুটি নিয়েও তালবাহানা সহ্য করতে হয়েছে। ঈদের বন্ধে হোমওয়ার্ক আর ইমারজেন্সি স্ট্যান্ডবাই থাকা ছিল সবচেয়ে বিরক্তিকর। শান্তিমত ঈদের দিনটাও কাটানো যেত না। মনে হত নিজেকে বেঁচে দিয়েছেন বেতনের বিনিময়ে।

এর বাইরেও ছিল আরও অনেক বিরক্তিকর বিষয়। এক কাজের মধ্যে আরেক কাজ ঢুকিয়ে দেয়া, নতুন কিছু শিখতে দেখলে বকাঝকা শুনা। অফিস পলিটিক্স তো ছিলই। অনেক ভালো ভালো জিনিষ অফিসে ইমপ্লিমেন্ট করার জন্য সাজেশন দিয়েছেন তিনি, তার কোনটাই আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। কাজের মধ্যে না ছিল কোন সিস্টেম না ছিল কোন প্ল্যান।

আর সব কথার শেষ কথা, সময়মত বেতনটাও মিলত না। মাসের শুরুতে যে বেতন পাওয়ার কথা সেটা দেয়া হত মাসের শেষে। ঈদ বোনাস নিয়ে চলত তালবাহানা। এখানে অন্তত এইসব ফেস করতে হবে না ভেবে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেন তিনি।

উপরের এই চিত্রটি হয়ত সব কোম্পানিতে এক সাথে ঘটে না, অনেকের ক্ষেত্রে হয়ত কিছু কিছু জিনিষ ঘটে। এখানে সংক্ষেপে সবগুলো তুলে আনা হয়েছে, তবে এর বাইরেও অনেক কিছু অনেক সময় ঘটে থাকতে পারে। সেটা আমাকে কমেন্টে জানাবেন। তবে আমি যে ঘটনাগুলো তুলে ধরেছি, প্রতিটি অন্তত একটি কোম্পানিতে ঘটেছে বলে আমি জানি আর আমার ধারণা অনেকগুলোই অনেক কোম্পানিতে ঘটে।

এখানে আমি মালিক এবং কর্মী, দুই পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেছি। আমি নিজে সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করেছি এবং নিজে সফটওয়্যার কোম্পানি চালাচ্ছি, তাই কারও প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি মনে করি এটা আমাদের সফটওয়্যার কোম্পানির একটি পুরাতন ব্যাধি আর এর কারণে আমাদের সফটওয়্যার শিল্প অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমার এই লেখার উদ্দেশ্য যেন আমরা ক্ষতিকর দিকটা বুঝতে পারি আর কিভাবে আমরা সবাই সুখে শান্তিতে একত্রে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি, সেটা যেন জানতে পারি।

একটা বিজনেসের জন্য মানব সম্পদ ও কাঁচামাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটোর উপর নির্ভর করে একটা পণ্য তৈরি হয় ও এর গুণগত মান নির্ভর করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সফটওয়্যার শিল্পে এই দুটোই আসলে সফটওয়্যার ডেভেলপার (আমি এখানে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক ডিজাইনার, ও অন্যান্যদেরকেও এর ভেতরে ধরছি)।

যখন কোন প্রোগ্রামার কোন কোম্পানি থেকে চলে যায়, সেটা সেই কোম্পানিকে অনেক পিছিয়ে দেয়। নতুন একজনকে এসে আবার শুরু থেকে সব বুঝে কাজ শুরু করতে হয়। ভুলভ্রান্তি হয়, সময় নষ্ট হয়। তাই এটা অবশ্যই লক্ষ্য থাকা উচিৎ যেন একজন কর্মী যতদিন সম্ভব কোম্পানিতে থাকে।

আমাদের দেশে হুটহাট প্রোগ্রামার চলে যাওয়ার একটা অভিযোগ প্রতিনিয়ত শোনা যায়। মালিকপক্ষ এক্ষেত্রে প্রোগ্রামারদের অপেশাদারিত্তকেই কারণ হিসাবে দেখে থাকেন। এজন্য অনেক মালিক মনে করেন যে, দেশে এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা উচিৎ। অনেকে আবার বন্ড সাইন করাতে চান নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে, অনেকে আবার একমাসের বেতন আটকে রাখতে চান। কিন্তু আসলে কি এসব করে সঠিক সমাধান পাওয়া সম্ভব?

আমার মতে এই সমস্যাটির সঠিক সমাধান যেভাবে হতে পারে-

১) বেশি সময় কাজ করাকে কোম্পানির সফলতার মূলমন্ত্র ভাবা যাবে না। সফটওয়্যার শিল্পে আপনি যদি সারাদিন ১০০০ লাইন কোড লেখার পর দিন শেষে সেটা এক ক্লিকে ডিলিট করে দেন, তাহলে ফলাফল শুন্য। কাজেই বেশি কাজ করে এখানে সামনে আগানো যায় না, আগাতে হলে সঠিক কাজ কম সময়ে করার ফর্মুলা শিখতে হবে।

আমি অনেক কোম্পানিতে দেখেছি যে অফিসে ১২-১৩ ঘণ্টা থাকতে হয় কিন্তু আসলে কাজ হয় ৪ ঘণ্টা, বাকি সময় কর্মীরা গা এলিয়ে বসে থাকেন আর কাজ করার ভান করেন। যখন এধরণের মনমানসিকতা কাজ করে তখন ৪ ঘণ্টাও ঠিকমত কাজ হয় কিনা সন্দেহ। কাজের প্রতি যদি আন্তরিকতাই না থাকে থাহলে ভালো সফটওয়্যার তৈরি করাই অস্বাভাবিক।

২) বেতন সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে হবে। শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দেয়া ইসলামের নির্দেশ। কাজেই আমাদের বুঝা উচিৎ, এর বিপরীত করে সফলতা পাওয়ার আশা করা, ভুল ছাড়া কিছুই নয়। বেতন নিয়ে তালবাহানা করলে কর্মী হারানো শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। যতক্ষণ তিনি অন্য কোথাও চাকরী পাচ্ছেন না, ততক্ষনই আপনার এখানে আছেন। কারণ সবাই চাকরী করেই বেতনের জন্যই। সেটাই যদি ঠিকমত না পান, তাহলে চাকরী করাই তার কাছে অর্থহীন।

৩) কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা ও টিম স্পিরিট তৈরি করতে হবে। কেন একজন কর্মী আপনার কোম্পানিতে থাকবে, এটা কোম্পানির জন্য এবং এর উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ তা তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে একটা লক্ষ্য বা ভিশন দিতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারে, কোম্পানি ভবিষ্যতে কি করতে চায়, কোন পথে হাটতে চায়। আর প্রতিটি টিম মেম্বারকে এই ভিশনের অংশীদার করতে হবে যাতে তারাও কিভাবে কোম্পানি তার লক্ষে পৌঁছতে পারে তার ব্যাপারে তারাও চিন্তাভাবনা করতে পারে, তাদের মতামত দিতে পারে। এতে করে সব কর্মী কোম্পানির মতাদর্শের সাথে নিজেকে সামিল করতে পারবে এবং কোম্পানির প্রতি তার দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পাবে।

৪) শেখার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কর্মীদের বুঝাতে হবে যে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে ও নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অফিসে বসে শেখার প্রয়োজন নেই, কিন্তু মাঝে মাঝে অফিস, কর্মীদের ট্রেনিংএর বেবস্থা করতে পারে। এতে করে কর্মীরা দক্ষ হয়ে উঠবে। এর মধ্যমে কোম্পানি বেশি লাভবান হবে।

৫) কর্মীদের সাথে ভালো আচরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারও যদি ভুল বা দোষ হয়, সেটা প্রফেশনালভাবে তার সামনে তুলে ধরতে হবে। এতে করে সে নিজের গাফিলতি অনুভব করতে পারবে। বাজে আচরণ কোন কাজে আসে না। এতে কেবল উল্টো প্রতিক্রিয়াই হয়। সব মানুষই সম্মানের সাথে কাজ করতে চায়। অন্যকে সম্মান করলে নিজে সম্মান পাওয়া যায়।

৬) কাজের মধ্যে সিস্টেম নিয়ে আসতে হবে। বেশিরভাগ কোম্পানি উপরের পয়েন্টগুলো ইমপ্লিমেন্ট করতে গিয়ে যে প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তাহল, যদি আমি এত কিছু করি তাহলে আসলে কি কাজের কাজ হবে নাকি খালি কর্মীদের মন খুশী করাই ফলাফল। আসলে এর সব কিছুই কাজ করে তবে আপনাকে সিস্টেম মত কাজ করতে হবে। সফটওয়্যার তৈরি করার নিয়ম মেনে চলতে হবে, টুলস ব্যাবহার করতে হবে, যাতে সব কিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর এটা না করতে পারলে এমনিতেও আসলে কাজের কাজ কিছু হবে না। আজ হোক আর কাল হোক সেই কোম্পানি সফলতা পাবে না।

৭) কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। সব সময় কোম্পানিতে কিছু দক্ষ লোক থাকে যারা কাজে কর্মে অন্যদের থেকে ভালো। যদি তাদের মধ্যে কোম্পানির প্রতি দায়িত্ববোধ থাকে তাহলে তাদের যথার্থ মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ, তা না হলে তারা কোম্পানি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে আপনি অন্যদের কাছে তাকে রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এই মূল্যায়নের মাপকাঠি যেন বেশি সময় অফিসে থাকা না হয়।

৮) নিয়োগ দেয়ার সময় কর্মীর মানসিকতা যাচাই করতে হবে। ইন্টারভিউতে শুধু কে কত কাজ জানে দেখলে চলবে না, আপনার কোম্পানিতে তার কাজ করার আগ্রহ কতখানি সেটাও দেখতে হবে। যদি কেউ কেবল বেতনের জন্য আপনার কোম্পানিতে কাজ করতে চায়, তাহলে বেশি বেতন পেলে সে কেন আপনার কোম্পানি ছেড়ে যাবে না? অনেক কর্মীর মানসিকতা আপনার কোম্পানি কালচারের সাতে মানাসই নাও হতে পারে, তাই কম বেতন ও বেশি দক্ষতার বিচারে তাদের নিয়োগ দেয়ার প্রলোভন থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে।

আমার মনে হয়, এই কয়টি কাজ যা খুবই সহজে করা যায় তা করতে পারলে কর্মীদের মধ্যে অনেক স্থিরতা তৈরি হবে। আমরা অনেক সময় ভাবি যে এগুলো কেবল গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুকের মত বড় কোম্পানিই করতে পারবে। এটা আসলেই ১০০% ভুল কথা। আমাদের মনে রাখতে হবে, তারাও একদিন ছোট ছিল আর তারা আজকের পর্যায়ে আসতে পেরেছে এই জিনিষগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আর যারা এগুলো করতে চায়নি বা পারেনি, তারা হারিয়ে গেছে (তবে বিজনেস আইডিয়া ও প্ল্যানও সাথে ঠিক থাকতে হবে)। আসল কথা ৫ জনের একটা টিমেও এগুলো বাস্তবায়ন করা যায় এবং এর থেকে ফল পাওয়া যায়।

পরিশেষে,

আমাদের সফটওয়্যার শিল্প এখনো অনেক নতুন। আসলে সারা পৃথিবীতেই এই শিল্প তুলনামূলকভাবে অনেক নুতন। তার উপর এই শিল্পটি একটি মেধা নির্ভর, সৃজনশীল শিল্প। আর এখানে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। দেখা যায়, গতানুগতিক ম্যানেজমেন্ট জ্ঞান দ্বারা এইরকম একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা অনেক কঠিন হয়ে পরে। আধুনিক বিশ্ব এখন নতুন ধরণের ম্যানেজমেন্টে বিশ্বাস করে। নিজেকে এর সাথে মিলাতে না পারলে আমাদেরকে পরাজয় মেনে নিতে হবে। তাই চলুন আমরা সবাই নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে একটি আদর্শ কর্ম পরিবেশ বান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করি ও সফলতার দরজা খুলে দেই।

মোঃ জালাল উদ্দিন,

প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ডেভস্কিল.কম

Share with Your Friends